Posts

  তুমি ডাকবে                                                       একদিন হব একা তোমাকে হারিয়ে                                                      বিষাদের সবটুকু দুঃখ বুকে নিয়ে                                                      জীবনের সেই রঙ্গীন মূহুর্তগুলো কি মনে পড়ে না?                                                      তোমাকে যে কতো ভালবাসি, তুমি কি বোঝ না?                                                      জানতে পাবে তুমি, যেদিন থাকবো না কাছে।                                                      ডাকবে আমায় ডুকরে কেঁদে আসবো না কাছে।                                                     যাবো চলে আমি, চলে যাবো দূরে ।                                                     দূর কোন অরণ্যে                                                    রেখে যাবো শুধু স্মৃতিগুলো মোর                                                      যা তুমি দিয়েছিলে।                                                     নির্জনে নীরবে বসে কাঁদবো শুধু আমি                                                    চোখের জল মোর চ
Image
প্রতীক্ষা                                                                                                              ফাল্গুনের আগুনে পুড়েছি কতকাল তোমাকে পাবো বলে                                     রক্তে রক্তাক্ত করেছি নিজেকে তোমাকে ভালবেসে।                                    হায়রে কপাল, ভেবেছিলাম সুখী হবে, কোথায় গেল সুখ?                                    নাম না জানা শহরে বিদিশার অন্ধকারে ঢেকে গেল মুখ।                                    মন উজার করে ভালবেসেছিলে যাকে সে তো ‍দিল তোমায় ফাঁকি                                    নত না করে শির সামনে দেখ জীবন রয়েছে আরো বাকি।                                    সুখের তরী তোমারই দুয়ারে তোমাকেই আহ্বান করে                                    রঙ্গীন সুখের তরীতে চরে চলে এসো মোর ঘরে।                                    রুপালি হাসি দিয়ে মোর হৃদয়ের কাছে কাঙ্গাল করেছ মোরে                                    মান অভিমান ভুলে গিয়ে সব, খুঁজে ফিরি তোমায় দোরে দোরে।                                                                                                  
Image
     মৌ মৌ কতো সুমিষ্ট তুমি কতো ভ্রমর তোমার কানে গুঞ্জনে রত দেখেছি আমি। তোমাকে পান করে কোন পুুরুষ হয়েছে হয়তো সুখী। শুধু আমি, হ্যাঁ শুধু আমি রয়েছি চির দুঃখী।  তোমার সেই প্রেমরস যার সুধা পারেনি ভুলতে কালো ভ্রমর। আমি সেই ভ্রমর হয়ে কাছে ‍গিয়ে চেয়েছি করতে তোমাকেই আদর। তবে কেন নিজেকে আড়াল করেছো , শত সহস্র প্রহরীর মাঝে। তা দেখে মোর হৃদয় মন্দিরে বিরহের করুণ সুর বাজে।  আমে চেয়েছি তোমায় মনে প্রানে, পারিনি মুখে কিছু বলতে। প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছি, জানি  একদিন পারবো তোমায় ভুলতে। তোমার চলার পথে দ্বাড়িয়ে কাটিয়েছি কতো কাল, তোমার চলে যাওয়া দেখে উপহাস করে পৌষের স্নিগ্ধ সকাল। উপহাস ভরা চোখে, তুমি ও একদিন তাকাতে মোর পানে। সেই চঞ্চলা নেত্র, আজও মোর দেহে শিহরণ বয়ে আনে। প্রতিটি রাতের ঘুম কেঁড়ে ধ্বংসের উল্লাসে তুমি রত। দিনের প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকেই ভেবে কাটিয়েছি আমি কতো। বিনিময়ে দিয়েছ আঘাত, যন্ত্রনা,লাঞ্ছনা, যা তোমার আছে। সব ভুলে গিয়ে নির্লজ্জ হয়ে ছুটেছি তোমার কাছে। কোন কারণে কিসের ভয়ে সরে আছ আজ দূরে। এগিয়ে এসো, হাত দুটি ধরে, সুখ নাও ঘারে ফিরে। জানি কোন দিনও পাবোনা তোমার উষ্ঞ প্রেমের ছোঁয়া। হৃদয় আকাশে খুঁজে
Image
                                                                              তুমি ভালবাস বলেই                               তুমি ভালবাস বলেই তো বেঁচে আছি নয়তো অনেক আগেই আমার মৃত্যু হয়ে যেত। যখন আমার কিছুই ছিল না তখনও তুমি ছিলে  এখনও আছো তোমার সবটুকু ভালবাসা উজার করে দিয়ে। তুমি ভালবাস বলেই তো আমার ভালবাসা তোমাকে নিয়ে ঘর বাঁধার মনে ব্যাকুল আশা। সুখের পুরিতে রেখে আমায় করেছ সুখি  এক জীবনে আমি ছিলাম বড়ই দুঃখি। তুমি ভালবাস বলেই তো সুখের সাম্রাজ্য গড়েছি তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সমস্ত শাসনভার অর্পণ করেছি। আমার উপর কতৃত্ব করার সবটুকু অধিকারও দিয়েছি জেনে রেখ আমি শুধু তোমাকেই ভালবেসেছি। রচনাকালঃ ০৮/০৩/২০০২ ইং প্রকাশকালঃ ১৪/০৩/২০২৪ ইং  
Image
                                                                         তোমার ছবি তোমার ছবি আছে দেখি নিশিদিন আমার পড়ার টেবিলের উপর। প্রশ্নবাণে জর্জরিত আমার এ ভগ্ন হৃদয় কার? কার? কার? পরিচয় দেবার মতো কিছুই নাই আমার আছে শুধু দু'ফোটা নিঃশ্বাস ফেলার। অদ্ভদ এই সম্পর্কটা তবু কাচেঁর ফ্রেমে টাঙ্গানো তোমার ছবিটা উপহাস ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে আমার পানে  হাসে আপন মনে, তাচ্ছিল্লের হাসি হ্যাঁ হাসে শুধুই হাসে । উচ্চারণ করে না কিছুই কারণ তার ভাষা নেই নেই তার প্রাণ আছে শুধু ্অস্তিত্ব তার। অনেক খুঁজে একদিন পেয়েছি তাকে বাজিয়েছিল প্রণয়ের সুর। তানপুরার সেই সুরটাকেও যেন মলিণ মনে হয়েছিল সেদিন ভেবেছিলাম এই  ধরাটি বুঝি অসার পাইনি খুঁজে জীবের অস্তিত্ত্ব চারিদিকে দেখেছি শুধু আধার। এই আঁধারের মাঝেই একটু আলোর বিদ্যুতচ্ছটা দেখেছি  পরে জেনেছি সেটা অন্য কিছু নয়, তুমি। আরো দেখেছি আঁধারের বুক বিদীর্ণ করে  বিষের বাঁশি হাতে কে যেন ‍ডাকছে, পরে জেনেছি সেটা অন্য কেউ নয়,কেবল তুমি । বিভীষিকাময় রাতের আঁধারে ধ্বংসের প্রতিচছবি হয়ে এসেছিলে এই ধরায়, জীর্ণ এই জীবনটাকে একেবারে নিঃশেষ করতে তোমারই বিষের ছোয়ায় । রচণাকাল- ২২/০৭/২০০১ই
Image
  মৃত্যু চাই একটু মৃত্যু চেয়েছিলাম, দেবে? জীবন যন্ত্রণা অনেক সয়েছি, দেবে? কষ্ট আমাকে কুরে খাচ্ছে তোমারই জন্য জীবনটা ধ্বংস হচ্ছে, দেবে একটু মৃত্যু যন্ত্রণা? এ মরণ  সুধা পান করতে চাই। চাই  এ জগৎটা ছেড়ে যেতে চলে যেতে চাই তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে  এই ধরা ছেড়ে যেখানে নেই তোমার মতো কােন মানবী। রচনাকাল- ০৬/০৬/২০০১ ইং প্রকাশকাল- ২৪/১২/২০২৩ ইং                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                     
Image
 রুপসী তোমার ছবি প্রেমময়ী তুমি তোমাতেই প্রেমের সাগর তোমাকে পাবার জন্য মন আমার কাতর। কোমল অধরের উপর ভ্রমর কালো তিল তোমার সাথে এই জগতে নাই কোন মিল। ডাগর দু’চোখ তোমার কাজল কালো তাই আমি তোমাকে বাসি এতো ভাল। শিল্পীর মন আমি দেখেছি তোমাতে  শিল্পী নাই হলে কি হয়েছে তাতে। উত্তাল যৌবন তোমার উথলিয়ে পড়ে যৌবনবতী এমন নারী আছে কার ঘরে। ঝর্ণার চঞ্চলতা তোমার ঘন কালো চুলে আবেগে আপ্লূত হই তুমি কাছে এলে। রাতের নিস্তব্ধতা তোমার মসৃণ বুকে জগৎটা আজ তোমায় নিয়ে আছে মহাসুখে। স্বর্ণ বরণ হাত দুটিতে চুড়ির ঝঙ্কার তুলে তোমার বুকে নাও গো আমায় সমাজ ‍সংস্কার ফেলে। কন্ঠে তোমার অদ্ভত সেই সুরের মূর্ছণা শুনি  আসবে কবে আমার কাছে সেই দিন বসে গুনি। কোমর তোমার ঠিক যেন ঐ তানপুরাটির খোল তোমায় দেখে মনের মাঝে খেলছে ভীষম দোল। আঙ্গুল তোমার কত ‍সুন্দর কোন শিল্পীর দান হৃদয় থেকে নিচ্ছো তুমি কেঁড়ে আমার প্রাণ। মুখ থেকে তোর চাঁদের আলো ঠিকরে যেন পড়ে তোর আলোতে চন্দ্রটা আজ নিজেকে আড়াল করে। তোমার পায়ের নুপুরটা আজ শুধুই আর্তনাদ করে তোমার পায়ের সৌন্দর্য আমাকে মোহিত করে। যৌবনে কতো দেখেছি নারী তোমার মতো নয় তোমার রুপের বাহার দেখে বোবাও কথা কয়। তব