মৌ


মৌ কতো সুমিষ্ট তুমি

কতো ভ্রমর তোমার কানে গুঞ্জনে রত দেখেছি আমি।

তোমাকে পান করে কোন পুুরুষ হয়েছে হয়তো সুখী।

শুধু আমি, হ্যাঁ শুধু আমি রয়েছি চির দুঃখী। 

তোমার সেই প্রেমরস যার সুধা পারেনি ভুলতে কালো ভ্রমর।

আমি সেই ভ্রমর হয়ে কাছে ‍গিয়ে চেয়েছি করতে তোমাকেই আদর।

তবে কেন নিজেকে আড়াল করেছো , শত সহস্র প্রহরীর মাঝে।

তা দেখে মোর হৃদয় মন্দিরে বিরহের করুণ সুর বাজে। 

আমে চেয়েছি তোমায় মনে প্রানে, পারিনি মুখে কিছু বলতে।

প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছি, জানি  একদিন পারবো তোমায় ভুলতে।

তোমার চলার পথে দ্বাড়িয়ে কাটিয়েছি কতো কাল,

তোমার চলে যাওয়া দেখে উপহাস করে পৌষের স্নিগ্ধ সকাল।

উপহাস ভরা চোখে, তুমি ও একদিন তাকাতে মোর পানে।

সেই চঞ্চলা নেত্র, আজও মোর দেহে শিহরণ বয়ে আনে।

প্রতিটি রাতের ঘুম কেঁড়ে ধ্বংসের উল্লাসে তুমি রত।

দিনের প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকেই ভেবে কাটিয়েছি আমি কতো।

বিনিময়ে দিয়েছ আঘাত, যন্ত্রনা,লাঞ্ছনা, যা তোমার আছে।

সব ভুলে গিয়ে নির্লজ্জ হয়ে ছুটেছি তোমার কাছে।

কোন কারণে কিসের ভয়ে সরে আছ আজ দূরে।

এগিয়ে এসো, হাত দুটি ধরে, সুখ নাও ঘারে ফিরে।

জানি কোন দিনও পাবোনা তোমার উষ্ঞ প্রেমের ছোঁয়া।

হৃদয় আকাশে খুঁজে পেয়েছি ,শুধু কালো মেঘের ধোঁয়া।

মৌ কতো ‍সুমিষ্ট তুমি।

কতো ভ্রমর তোমার কানে গুঞ্জনে রত দেখেছি আমি।

পাহাড়ে, পর্বতে, অরণ্যে, আকাশে, বাতাসে, মেঘে।

তরুলতার মাঝে, জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ আলোতে, ‍সর্বত্রই তোমার বিচরণ।

ঝরণার চঞ্চলতায়, আগুনের শিখায়,সমুদ্রের উচ্ছাসে,

কবির কবিতায়, লেখকের লেখনিতে,উপন্যাসিকের উপন্যাস।

সবখানেই খুঁজি তোমার অস্তিত্ব।

আলেয়ার আলো তুমি।

তোমার আলোয় হয়েছি দিকভ্রান্ত পথিক আমি।

দিকবিদিক ছুটে আমি ক্লান্ত, শ্রান্ত তোমারই জন্য।

হন্যে হয়ে খুঁজি, পথে এতোটুকু বিশ্রাম নেই নি।

তোমাকে পাবো বলে, তোমারই পথে চেয়ে থাকি অপলক নেত্রে।

তোমাকে পাই, তোমার ফেলে যাওয়া পদচিহ্নে।

তোমার পদচিহ্ন আমাকে দিয়েছে একটু প্রশান্তি,

যা নিয়ে মহাসুখে আমি আজও বেঁচে আছি।

আমি উদ্বিগ্ন এই বুঝি কেউ এসে মুছে যাবে তোমার পদচিহ্ন।

তারপর কি নিয়ে বাঁচবো আমি ?


রচনাকাল- ১৬/১১/২০০২ইং

প্রকাশকাল- ২৯/০৩/২০২৪ইং



Comments

Popular posts from this blog

বিড়াল পালনে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি